বাইক চালকদের দূর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য হেলমেট অত্যাবশ্যকীয়। নিয়মনুযায়ী হেলমেট ছাড়া বাইক আরোহীদের জরিমানা দিতে হয়। প্রশাসনের তরফ থেকেও কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়ে থাকে বাইক চালকদের। কখনও ট্রাফিক পুলিসের হাতে ধরা না পরলেও সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমেও চিহ্নিত করা হয় বিনা হেলমেটের বাইক চালকদের। বিনা হেলমেটে বাইক চালানো মস্ত বড়ো ভুল।

কিন্তু এবার তার থেকেও বড়ো ভুল করে বসলো প্রশাসন নিজেই। বাইক চালক নয়, চারা চাকা চালকের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করলেন বিনা হেলমেটে গাড়ি চালানোর জন্য। ঘটনাটি অবশ্য আমাদের রাজ্যে ঘটেনি, ঘটেছে আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে।

পুলিসি তৎপরতায় পুলিস নিজেই ভুল করে বসেন। হেলমেট না পরায় জরিমানা করা হয় এক চারচাকা গাড়ির চালককে। পরিবহন দফতরের চালান পেয়ে তো তাজ্জব ওই গাড়ির চালক।

সংবাদসংস্থাকে দেওয়া বয়ানে ব্যক্তিটি জানান যে, সমস্ত নিয়ম মেনেই গাড়ি চালাচ্ছিল সে, এমনকি গাড়ির লাইসেন্স থেকে শুরু করে যাবতীয় নথি ঠিকঠাক ছিল। বেঁধেছিলেন সিট বেল্টও। তবুও পুলিস হেলমেট না পরার কারণে ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন তার কাছ থেকে।

চালানেও লেখা থাকে যে হেলমেট না পরার কারণেই এই জরিমানা। পরিস্থিতির কবলে পরে জরিমানা দিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। এরপর গাড়ি নিয়ে বেরোলেও হেলমেট পরেই বেরোন তিনি। কিন্তু কেন এমন জরিমানা তা জানতে পরিবহন দফতরের দ্বারস্থ হন তিনি।

চালান দেখে পরিবহন দফতরের কর্মীরাও অবাক। দেখেন যে চালানে গাড়ির নম্বরটি দেওয়া হয়েছে তা একটি চারচাকার। সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের ভুল স্বীকারও করে নেন কর্মীরা। শেষপর্যন্ত ওই চালান বাতিল করা হয়। বেঙ্গালুরুতেও কয়েক বছরে আগে একই গোলমাল পাকিয়েছিলেন পরিবহন দফতরের কর্মীরা।