প্রাচীনকাল থেকেই মন্ত্র তন্ত্রের ব্যবহার হয়ে আসছে। এর সাহায্যে যেমন মানুষের ভালো হয় তেমনই ক্ষতিও করা যায়। সব কিছুরই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই দিকই আছে। কেউ শরীর ভালো করার জন্য মন্ত্রের আশ্রয় নেয়, আবার কেউ অন্যের ক্ষতি করার জন্য মন্ত্র তন্ত্র তুকতাকের সাহায্য নেয়। আমাদের চোখের সামনে এমন কিছু ঘটে যার ব্যাখ্যা আমরা পাই না।

এই মন্ত্রকে আমরা ভগবানের আশির্বাদ হিসাবেই মনে করে থাকি। এর একটি ইতিবাচক দিক আপনাদের সঙ্গে আজ আমরা আলোচনা করবো। আমাদের সমাজে আজও এমন কিছু ঘটনা ঘটে যার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। আর এই ঘটনা গুলিকে আমরা বলে থাকি ভগবানের মহিমা।

ভগবান তুষ্ট হন মন্ত্রে। মন্ত্রের মধ্যে আছে অনেক শক্তি। প্রাচীন কালে সাধুরা হিমালয়ে খাবার না খেয়ে, না ঘুমিয়ে, পোশাক না পড়ে দীর্ঘদিন শুধুমাত্র মন্ত্র যপ করেই বেঁচে থাকতেন। তাহলেই ভাবুন মন্ত্রের কত শক্তি। এমনই একটি আদি মন্ত্র আছে যার অসাধারণ গুন রয়েছে।

এই মন্ত্র যদি প্রতিদিন সকালে উঠে পাঠ করা হয় তাহলে আপনার মধ্যে থেকে সমস্ত নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা দূর হয়ে যাবে। মনের ইচ্ছাশক্তি অনেক বৃদ্ধি পাবে। শুধু মন্ত্র পাঠ করলে হবেনা, তার সঙ্গে সঙ্গে ধ্যান করতে হবে। যদি আপনি এই নিয়ম মেনে মন্ত্র পাঠ করেন তাহলে আপনার মধ্যে এনার্জি বেড়ে যাবে। শরীর ও মনের সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।

শাস্ত্রে এই মন্ত্রের কথা অনেক জায়গায় উল্লেখ আছে। মন্ত্রটি খুব ছোট হলেও তার মাহাত্ম্য অনেক। মন্ত্রটি হল “ওঁ”। এই মন্ত্র পাঠের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। প্রতিদিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে শান্ত পরিবেশে এই মন্ত্র ১০৮ বার পাঠ করুন। এই মন্ত্র পাঠের ফলে আপনি খুব শীঘ্রই ফল পাবেন।

এর ফলে আপনি জীবনে অনেক সফলতা লাভ করবেন, আপনার নাম যশ বৃদ্ধি পাবে, আপনি প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তার করতে পারবেন। এই মন্ত্র পাঠ আপনার আধ্যাত্মিক ও মনস্তাত্বিক দুই দিকই ভালো ফল দেবে। এই মন্ত্রের সঙ্গে সূর্যের সম্পর্ক রয়েছে। এই মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে আসলে আপনি সূর্যের আরাধনা করছেন।

রোজ সকালে এই মন্ত্র পাঠ করলে আপনি সারাদিন খুন প্রাণবন্ত হয়ে থাকবেন। আপনি যদি নিয়ম মেনে রোজ এই মন্ত্র পাঠ করেন তাহলে অবশ্যই ফল পাবেন। বাকি সম্পূর্ণটাই বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। বিশ্বাস ও মন দিয়ে সব কাজ করলেই তার ফল পাওয়া যায়।