স্মার্ট ফোন এবং ইন্টারনেটের যুগে আমরা প্রায় সব কিছুই হাতের নাগালে পাই। সময় এখন এমন জায়গায় গেছে যে আমরা খুব প্রয়োজন না থাকলে উঠে গিয়ে আমাদের পার্সোনাল কম্পিউটারটা অন করি না, বরং সমস্ত কাজ হাতের মুঠোয় রাখা ছোট্ট স্মার্ট ফোন টাতেই সারতে পছন্দ করি। গান শোনা, সিনেমা দেখা, এমনকি এখন ছবি আঁকার কাজও মোবাইলেই হচ্ছে।

এছারাও এর সাথে যুক্ত হয়েছে অনলাইন কেনা কাটার অভ্যাস, ঘরে বসেই অর্ডার দিয়ে ফেলা যাচ্ছে মোবাইলের একটি মাত্র ক্লিকে, সেই জিনিসের টাকা অনলাইনেও দেওয়া যাচ্ছে অথবা সেই প্রোডাক্ট নিজের বাড়িতে ডেলিভারি হওয়ার সময়ও তার টাকা মেটানো সম্ভব।

এই সমস্ত ব্যাবসার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে কিছু ই-কমার্স ওয়েব সাইট, তারা অনলাইন ব্যাবস্থার মাধ্যমে অর্ডার বাড়িতে পৌঁছে দেন। যেমন আমাজন, ফ্লিপকারট সহ আরও অনেক অনেক, এখন তো খবারও অনলাইনে কেনা যায়, সেটা কাঁচা হোক বা রান্না করা।

তো যাইহোক এই আমাজন হল একটি আমেরিকান মাল্টিন্যাশনাল টেকনোলোজি কোম্পানি, যেটা কিনা ওয়াশিংটনের সিয়াটেলে অবস্থিত। এটার মুখ্য লক্ষ্য হল ই-কমার্স, ক্লাউড কমিউটিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সহ আরও অনেক কিছু।

এই কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজস, ১৯৯৪ সালের ৫ ই জুলাই তিনি এই কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্বের সব থেকে বড় চারটি কোম্পানির তালিকায় অ্যাপেল, গুগুল এবং ফেসবুকের পরেই আমাজনের নাম রয়েছে।

আজ যে ঘটনাটা নিয়ে কথা বলবো সেটা হল আমাজনের ই-কমার্স সেক্টরটিকে নিয়ে। গত বৃহস্পতি বার যা নিয়ে উত্তাল হয়েছে টুইটার, স্লোগান উঠেছে #বয়কট আমাজন, খেপে গেছে হাজার মানুষ।

কিন্তু কেন হঠাৎ করে এরম একটি ঘটনা ঘটল? জানা যায় যে এই সংস্থা হিন্দু দেব দেবির ছবি ব্যাবহার করেছে জুতো এবং টয়লেটের সিট কভারে। শুধু ব্যাবহারই নয় বিপনন সামগ্রি হিসেবেও প্রচার করেছে, এর ফলে চটে গেছে অনেকেই।

এই ঘটনা যে আগে ঘটেনি তা নয়, ২০১৭ তে পাপশে ভারতীয় জাতিও পতাকার ছবি দিয়ে বিতর্ক ডেকে এনেছিল এই সংস্থা। তার আগেও ২০১৬ তে পাপশে দেব দেবির ছবি দিয়েও বিপনন চালাবার চেষ্টা করে এই সংস্থা।

সেবার সুষমা অ্যামাজনকে জানান, অবিলম্বে ওই ছবি দেওয়া সামগ্রী বিক্রি বন্ধ না করলে ভারতে সংস্থার প্রতিনিধিদের ভিসা বাতিল করা হবে। টুইটারে বয়কট আমাজন রব তুঙ্গে ওঠে, তাতে ট্যাগ করা হয় বিদেশমন্ত্রকের সুষমাকেও এবং তাকে অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে একটি ব্যাবস্থা নিতে বলা হয়।