ভারত জবাব দিলো পাকিস্তানের হামলার। ভোররাতে নিয়ন্ত্রনরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানের কাশ্মীরে গিয়ে একাধিক জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করে এল ভারতীয় বায়ু সেনা। তারা এই কাজে ব্যবহার করেছিল ১২ টি মিরাজ২০০০ যুদ্ধবিমান। তারা ভোররাতে পাকিস্তানে প্রবেশ করে জঙ্গি ঘাটি লক্ষ করে বোমাবর্ষন করে। তারা আকাশ পথের সীমানা পেরিয়ে ঢুকে যায় পাকিস্তানে। তারপর যুদ্ধবিমানের সাহাজ্যে বোম্বর্সন করতে থাকে সেখানে।
এই অভিজানে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ জঙ্গি নিহত হয়। সে কথা লজ্জায় স্বীকার করেনি পাকিস্তান। তাদের দাবি ভারতের বায়ুসেনা খুব তাড়াহুড়ো করে আসে আর বোমা ফেলে আবার ফিরে যায়। তারা ভাবতেই পারেনি যে ভারত বায়ুপথে তাদের উপর আক্রমন করবে।
তারা হয়তো ভেবেছিলো ভারত স্থলপথেই বদলা নিতে আসবে। কিন্তু ভারতের এরকম পদক্ষেপে তারা হতচকিত। এর পর পাকিস্তান ভয় পেয়ে বৈঠক বসিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রীর সাথে। পাকের হামলার পর সারা দেশ জুড়ে এক্টাই কথা উঠে এসেছিল। সেটা হল বদলার কথা। সকলের মুখে এক্টাই স্লোগান ছিল ” বদলা চাই”।
ভারতের সেনা পাকিস্তানে ঢুকেছিল মিরাট ২০০০ নিয়ে। এটি একটি অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান। কেন এই বিমানটি ব্যবহার করলো ভারত? এর বিশেষত্ব কি? আসুন তাহলে জেনে নিন… প্রায় তিন দশক ধরে ভারতীয় যুদ্ধ বিমা মিরাজ ২০০০। এই বিমান প্রথমে তৈরী হয়েছিল ফ্রান্সের জন্য। আর সেটি তৈরি করেছিল দাসাল্ট নামে এক অস্ত্র নির্মানকারী একটি সংস্থা।
তারপর ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে এই বিমান আসে ভারতের হাতে। এই সংস্থার থেকে ৩৬ টি রাফালে যুদ্ধবিমান কিনেছে ভারত। মিরাজ ২০০০ মূলত বোমার জন্য। বোমাবর্ষনের জন্যি এই বিমান ব্যবহার কড়া হয়। এপর্যন্ত ভারত ছাড়াও আরো ৯টি দেশের হাতে মোট ৬০০ টি বিমান রয়েছে। এই মুহুর্তে ভারতের কাছে আছে ৪০ মিরাজ।
সাতের দশকে এই বিমান তৈরী হলেও এই বিমান আপগ্রেড কড়া হয়েছে। এর ফলে আরো কার্জকরি হয়ে উঠেছে মিরাজ। এই মিরাজ প্রায় ৫ হাজার ৯০০ কিলোগ্রাম ওজনের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উড়তে সক্ষম এই বিমান। শত্রু জঙ্গি বিমানকে আকাশে ধ্বংস করার জন্য সেখানে আছে কামান। তার সঙ্গেও রয়েছে রকেট। লেজার গাইডের বম্ব বহন করতে সক্ষম করতে পারে বিমানটি। নিচে থেকে নিখুত ভাবে জঙ্গি ঘাটি লক্ষ করা যায়।