মাঝে মধ্যে আমাদের চারপাশে এমন অদ্ভুত কিছু ঘটনা ঘটে যার আমরা ব্যাখ্যা দিতে পারিনা কিছুতেই। এইরকম ঘটনা সম্পর্কে শুনলে আমরা চমকে উঠি, আমাদের হাড় হিম হয়ে যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও এইসব ঘটনা সম্পর্কে আমাদের কৌতূহলের কোন সীমা পরিসীমা থাকে না। আমরা উদ্গ্রীব হয়ে এইরকম সব খবর জানার জন্য বসে থাকি।

এরকমই এক লোম খাড়া করে দেওয়া ঘটনা ঘটেছে ঝাড়খন্ডের পালামৌ’তে। সংসারে অশান্তি থাকে সব মানুষের। কিছু মানুষ একে নিজের ভাগ্য বলে মেনে নেন আর কিছু মানুষ প্রতিবাদ করেন। আবার কোন কোন সময় এমনও ঘটে যে মানুষ প্রতিবাদ করার ভাষা হারিয়ে ফেলে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন।

এই সব সমস্যার কোন প্রতিকার নেই। বাড়ির অশান্তিতে অনেকে এভাবেই নিজের মধ্যে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থকেন। এরকমই এক মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পালামৌর বাড়ির গৃহকর্তা। কারোর সাথে কথা না বলাতে তার মনে এই ডিপ্রেশন ভয়ানক আকার ধারন করে।

অশান্তি না কমাতে এর পর তিনি বেছে নেন শেষ উপায়। কোন অবস্থায় পৌঁছে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন সেটা আমাদের জানা নেই তাই আমরা তাকে কোনভাবেই বিচার করতে পারিনা। অশান্তির হাত থেকে বাঁচতে তিনি গলায় দড়ি দেন। তার মৃতদেহ ঝুলে থাকে ঘরের ভিতর। সন্ধান পায় তার ছেলে।

এরপরের ঘটনা আরো রোমহর্ষক। এই অশান্তি এবং ঝামেলার প্রভাব পড়েছিল ছেলের মগজেও। তিনি যে ধীরে ধীরে পাগল হয়ে গেছেন তা জানতে পারেননি বাড়ির কেউই। এই ছেলে ঐ মৃত বাবার মরদেহ খুবলে খুবলে খায়।

তার এই কীর্তির কথা জানতে পারতেন না হয়তো কেউই, কিন্তু ঘর থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হতেই পাড়ার লোকজন দেখতে আসেন ঘটনা কি। সিলিং ফ্যানের দড়ি দেখে তারা বুঝতে পারেন বাবার অন্তিম পরিণতি। ছেলের হাতে মুখে রক্ত দেখে সেই বীভৎস দৃশ্য তারা সহ্য করতে না পেরে পুলিশে খবর দেন।

পুলিশ এসে উদ্ধার করে মৃতদেহ, ছেলেকেও তারা ধরে নিয়ে যায়। কিন্তু পরে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় পাগলা গারদে। এই বীভৎস ঘটনার যারা সাক্ষী হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই জানিয়েছেন তারা এখনো রাতে দুঃস্বপ্ন দেখেনে ব্যাপারটি নিয়ে।